Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
নগরঘাটা ঈদগাহ ৪শ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য
স্থান

সাতক্ষীরা খুলানা মহাসডক থেকে ত্রিশ মাইল টু চৌরাস্তা সড়কের নগরঘাটা পাঁচপাড়ার মধ্যে স্থালে রাস্তার পাশে ঈদগাহটি অবস্থিত।

কিভাবে যাওয়া যায়

আপনারা যারা এই নগরঘাটা ঈদগাহটি দেখতে যেতে চান তারা কিভাবে যাবেন? সাতক্ষীরা কলারোয়া থেকে যাবেন তারা কলারোয়া পলাশ/শাপলা সিনেমা হলের নিকট থেকে বাইক বা ইঞ্জিনভ্যানে করে চলে যাবেন ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজার । প্রত্যেকজনের বাইক এ ভাড়া পড়বে ৩০ টাকা আর ইঞ্জিনভ্যানে ভাড়া পড়বে ২০টাকা। সেখান থেকে ইজিবাইক/মাহেন্দ্রা/ভ্যানে করে চলে যাবেন সোজা নগরঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ভাড়া পড়বে ১৫ টাকা।

 

সাতক্ষীরা থেকে যেতে চাইলে,খুলনা রোড মোড় হতে বাসে/ইজিবাইক এ করে সোজা ৩০ মাইল, ভাড়া পড়বে ১০ টাকা সেখান থেকে ইজিবাইক/ভ্যানে করে সোজা চলে যাবেন নগরঘাটা ঈদগাহ ময়দানে, ভাড়া পড়বে ১০/ ১৫ টাকা।

বিস্তারিত

নগরঘাটার ৪শ বছরের প্রাচীন ঐতিয্য ঈদগাহ ময়দান এটা। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামে অবস্থিত । এটি নগরঘাটা গ্রামের ৪শ বছরের পুরাতন ঈদগাহ হবে যদিও অনেক লোক এটাকে পাঁচপাড়ার ঈদগাহ বলেন, কারন নগরঘাটা ও পাঁচপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এর অবস্থান।

 

এই ঈদগাহ এর বয়স আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছর। এই ঈদগাহ এর পাশে ছিল বিশাল এক বটবৃক্ষ। যেটার ছায়াতেই স্থানীয় লোকজন ঈদের জামায়াত আদায় করতেন। প্রতি বছর দুই ঈদে ২ হাজার মুসলমানের এখানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।এখান থেকে প্রায় ৩ বছর আগে স্থানীয় ঈদগাহ কমিটি বটবৃক্ষটি বিক্রয় করে তার পাশে নতুন রুপে একটি ঈদগাহ তৈরি করেছেন যেটা এখনো নির্মাণাধীন কিন্তু পুরানো আমলের সেই ঈদগাহটি এখনো অযত্নে অবহেলায় টিকে আছে প্রাচীন আমলের নির্মিত নিদর্শন হিসাবে। 

 

 এই ঈদগাহ সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্য  জানা নেই কারও। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে বলেন এই ঈদগাহ নাকি কোন এক পূর্ণিমার রাতে জ্বীন পরীরা তৈরি করেছিল এবং প্রতি পূর্ণিমার রাতে এইখানে নাকি মাথাকাটা ঘোড়া বিচরণ করত।

 

এখানে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে লোকজন মানত করে ছুটে আসেন। সপ্তাহের এই দিনে পাশ্ববর্তী এলাকার ছেলে মেয়েরা এখানে জড়ো হয় মানতের হাঁস,মুরগি ছেড়ে দেয়ার পরে সেগুলো যেই আগে ধরতে পারবে সেই হবে তার অধিকারী। বাড়ি থেকে রান্না করে এখানে এসে শিশুকে জু’ম্মার আযানের পরে খাওয়ানোর দৃশ্য দেখা যায় প্রতি সপ্তাহে।